নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার আল্লাহ্-র দর্গা, জয়ভোগ গ্রামের , শহিদুলের পুত্র জনির রমরমা অবৈধ নেশাজাতদ্রব্য টাপেন্টাডল ব্যবসা। কুষ্টিয়া দৌলতপুর আল্লাহ্-র দর্গা বাজারস্থ প্রাইমারী স্কুলের সামনে অগ্রণী ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংক বিল্ডিং , মেইন রোড সংযুক্ত সিয়াম ফার্মেসীতে ঔষধ ব্যবসার আড়ালে রমরমা মাদক ব্যবসা চলছে।সরোজমিনে গিয়ে জানা যায় , ওষুধের দোকান সিয়াম ফার্মেসীর আড়ালে জনি ও তার চাচাতো ভাই জুয়েল (দাড়িয়ালা জুয়েল ) দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধ নেশাজাতদ্রব্য মাদক টাপেন্টাডল ট্যাবলেট পাইকারি বিক্রি করে আসছেন জনি ও জুয়েল। অবৈধ নেশাজাত টাপেন্টাডল ট্যাবলেট ডিলার জনির ছোট চাচা ভ্যানচালক বিদ্যুতের মাধ্যমে টাপেন্টাডল ট্যাবলেট বিভিন্ন স্থানে পৌছায়ে দেন তাহার পাখি ভ্যানে বহন করে। জনি-ই, শুধু-নই,দৌলতপুরে টাপেন্টাডল ডিলারদের মধ্যে, অন্যতম শীর্ষ টাপেন্টা ব্যবসায়ী জনিও তার আপন চাচাতো ভাই জুয়েল।দৌলতপুরে একাধিক টাপেন্টাডল ব্যাবসায়ী (ডিলার) রয়েছেন । এদের মধ্যে অন্যতম টাপেন্টা ব্যবসায়ী ডিলার জনি । জানা যায় , জনি তার ঔষুধ ব্যবসার আড়ালে টাপেন্টা ব্যবসা করে গড়েছেন অবৈধ টাকার পাহাড়,গড়েছেন বিলাশ বহুল বাড়ি ও গাড়ি, করেছেন বিভিন্ন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান । সরোজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ হতে আরো জানা যায়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া শাখার সাবেক এক অস্থায়ী কর্মচারির নাম, সাবেক অস্থায়ী এ কর্মচারী জনির টাপেন্টাডল ব্যবসার পার্টনার । সেই অস্থায়ী সাবেক এ কর্মচারী ছিলেন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর , কুষ্টিয়া শাখার সাবেক অস্থায়ী কর্মচারী । সাবেক এ অস্থায়ী কর্মচারীর চাকরী চলে যায়, কুষ্টিয়া জেলার প্রত্যেক মাদক ব্যাবসায়ীদের সাথে সক্ষতার কারণে । এদিকে সরোজমিনে আরো খোজ খবর নিয়ে জানা যায়,সাবেক অস্থায়ী ওই কর্মচারী ও জনি এ অবৈধ মাদক নেশাজাতদ্রব্য টাপেন্টাডল ট্যাবলেট ব্যবসার শীর্ষ ডিলার । সাবেক এ অস্থায়ী কর্মচারী চাকরিচ্যুত হবার পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া শাখার বিভিন্ন কর্মকর্তার নামে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ডিলার ও মাদকের স্পট হতে সাবেক সেই অস্থায়ী কর্মচারী প্রত্যেক মাসে মাশোয়ারা তোলেন । জনি ও জনির চাচাতো ভাই জুয়েল কুষ্টিয়া জেলার অবৈধ নেশাজাত দ্রব্য মাদক টাপেন্টাডল ব্যবসায়ীদের অন্যতম শীর্ষ স্থানে । তথ্য আছে জনি তাহার ব্যবসার রাস্তাতে বাধাগ্রস্থ ব্যাক্তিদের ব্যাবসার স্বার্থে জনির রাস্তা ক্লিয়ার করার জন্য জনির কথিত মাদক ব্যবসার পার্টনার সাবেক সে অস্থায়ী কর্মচারীকে দিয়ে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন প্রশাসন ও ক্যাডার বাহিনীর মাধ্যমে, জনির কথা মতো ভালো মানুষ ও জনির বিপক্ষের লোক জনকে মাদক সহ মামলা দেন । মাদক ব্যবসায়ী জনির নামে রয়েছে একাধিক মাদক মামলা । এখন প্রশ্ন হলো মাদক ব্যাবসায়ী জনির মাদক ব্যাবসার নেপথ্যে কারা ? প্রশাসনের দিক দিয়ে কারা এ মাদক ব্যবসায়ী জনি ও জনির চাচাতো ভাই জুয়েল কে আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) সাহেবের মুঠোফোনে কল করে জানতে চাইলে । তিনি বলেন , আমাদের দৌলতপুর থানাতে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকের বিষয়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে । মাদক ব্যবসায়ী যেই হোক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে কোন আপোষ নেই । আমরা সকলের সহযোগীতায় দৌলতপুর থানাকে মাদক মুক্ত করা ও মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্সের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। কোন মাদক সেবী ও মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড় নই ।