নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
কুষ্টিয়ায় জেলা পুলিশের অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ। তারা মহাসড়কে ডাকাতির সাথে জড়িত ছিল।
১৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ১২ টার সময় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আটককৃতরা হলেন মাগুরা জেলার আজমপুর গ্রামের লোকমান মুন্সীর ছেলে কাজল হোসেন (২৭), ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার ভর কামদিয়া গ্রামের মৃত সাদেক খানের তিন ছেলে মাসুদ খান (৩৪), মাসুম খান (৩২) ও বাচ্চু খান (৩০), ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার ছাগলদিঘী গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে শাহিন শেখ ওরফে রাকিব (২৫) এবং ফরিদপুর জেলা বোয়ালমারী থানার হরিহরনগর গ্রামের সিদ্দিক মোল্লার দুই ছেলে সবুজ মোল্লা (২৪) ও সিদ্দিক মোল্লা (৬৫)।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান গত ২৩ আগস্ট দিবাগত রাত অনুমানিক পৌনে একটার দিকে বগুড়া জেলার বুড়িগঞ্জ হাট থেকে বিভিন্ন রং ও আকৃতির সর্বমোট ৭ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্য মানের আটটি গরু ক্রয় করে কয়েকজন ব্যবসায়ী ট্রাকে করে নিজ বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে রাত আনুমানিক পৌনে একটার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের আলামপুর বালিয়াপাড়া ব্রিজ পার হয়ে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ১৪-১৫ জনের একটি ডাকাত দল দুটি ট্রাকযোগে পিছন দিক থেকে এসে রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করে গরু বোঝাই ট্রাক থামায়। এসময় স্লাইরেঞ্চ ও এসএস পাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে চোখ-মুখ ও হাত বেঁধে ফেলে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সাতটি মোবাইল ফোন, নগদ ৭৯ হাজার টাকা, একটি ট্রাক ও সাত লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের আটটি গরু ডাকাতি করে পালিয়ে যায়। ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার পর ব্যবসায়ীরা ৯৯৯ এ কল দিয়ে ডাকাতির বিষয়টি জানান। পরে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ ও স্থানীয় হাইওয়ের পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ওই দিনই কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
আটককৃতরা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য বলে জানা যায়। মামলাটির প্রাথমিক তদন্তকালে তথ্য-প্রযুক্তি বিশ্লেষণে বর্ণিত আসামিদের মামলার ঘটনার সাথে জড়িত আছে বলে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানান কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খায়রুল আলম।