নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
“বাবার বয়স ৩৬, মায়ের বয়স ২৭, কনের বয়স ১৮” ভুয়া জন্ম নিবন্ধন দেখিয়ে বাল্যবিবাহ হচ্ছে স্থানীয় একজন বাসিন্দার দেয়া তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে জাতীয় দৈনিক অগ্নিশিখা পত্রিকার দৌলতপুর উপজেলা প্রতিনিধি আবুল বাসার ও সাপ্তাহিক দৌলতপুর বার্তা’র স্টাফ রিপোর্টার সাজ্জাদ হোসেন অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর শেখ পাড়া গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হামলার শিকার আবুল বাসার বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর-২২ ) বিকাল ৪ টায় বাল্যবিবাহের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের জন্য উপজেলার মথুরাপুর শেখ পাড়া গ্রামের জনৈক নাজমুল ইসলামের বাড়ীর সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছামাত্রই এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক আবুল বাসার আরো জানান, পাকা রাস্তার উপর দাড়িয়ে বর’কে বরণ করার জন্য নির্মিত তোরণের ছবি তোলেন সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন। এসময় বাড়ীর ভেতর থেকে গালি দিতে দিতে তেড়ে আসেন উপজেলার সোনাইকুন্ডি মাদ্রাসা পাড়ার মৃত সিফাত মন্ডলের ছেলে যাকাত আলী। এসময় সাংবাদিকের ব্যবহৃত মটরসাইকেলে “প্রেস” স্টিকার দেখে ক্ষিপ্ত হন।
যাকাত আলীর নির্দেশে মাহিম (৩০), আশিক (২৮), মিলন, শাহজাহান, তানিম, পলাশ’সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন লাঠিসোঠাসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে সাংবাদিকদ্বয়ের উপর হামলা করেন। মথুরাপুর শেখ পাড়া গ্রামের আজিরুদ্দিনের ছেলে রানা’সহ স্থানীয়রা সাংবাদিকদের উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব-কেপিসি’র সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব। অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন তিনি।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, কনের পিতা নাজমুল ইসলাম ২০০৬ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। জন্মসনদে কনের জন্মতারিখ ১২ অক্টোবর -২০০৫ হলো কিভাবে? ইহার তদন্ত প্রয়োজন।