1. nannunews7@gmail.com : admin :
শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ০১:০৩ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়া হরিপুরে শ্বশুর জামাই এর নেতৃত্বে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও খাস জমির রমরমা ব্যবসা

  • প্রকাশের সময়ঃ- মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৯৪ পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাসদ নেতা মাসুদ ও তার মেয়ে জামাই জনির নেতৃত্বে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও নদীর ধারের চর ঘীরে খাস জমির রমরমা ব্যবসা। স্থানীয় সুত্রে প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা যায় ৩০হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা হলেই এর বিনিময়ে ২থেকে ৩কাঠা পরিমান অবৈধভাবে জমির দখল দিয়ে জমি দেওয়া হচ্ছে।রাত দিন এককরে বলু-খেকো বাহিনী রা নেমেছে নদীর পার খননে, এতে দিন দিন নদী ভাঙ্গন বেড়েই চলেছে, সেই সাথে ভোগান্তিতে পড়েছেন নদীর পারের বসত বাড়িঘর।এছাড়াও এই বালু খেকো বাহিনীদের নেতৃত্বেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চোখ ফাকি দিয়ে চলছে ধুমসে মাদক সেবন, চাঁদাবাজী। ক্ষোভ প্রকাশ করে এলাকাবাসী বলেন আমাদের নদীর ধারে সুন্দর ও মনোরম দৃশ্যগুলো এভাবে অবৈধভাবে বালি উত্তলনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও দুর দুরান্ত থেকে পর্যটকরা বেড়াতে আসলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে ব্লাকমেইল করে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করে থাকে।এভাবেই একেরপর এক দিনের পরে দিন জনগণকে আতঙ্কে রেখে হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের ২নং এবং ৭নং ওয়ার্ডে নদীর কুলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার মেয়ে জামাই জনি ও তার বিয়াই অবাধে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে। এতে নদীর কুলের রাস্তা-ঘাট, বাঁধ, এবং ঘরবাড়ি হুমকিতে পড়েছে।খোঁজ নিয়ে আরো দেখা যায়, জিকে ড্রেজার দিয়ে নদী তীরবর্তী পাহাড় সমান বালি দিয়ে উচু করে রেখেছে সেই সুযোগে অবাধে বালি কেটে টলিতে করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। বিদ্যমান পরিস্হিতিতে বালির ঘাটে টলির সারিবদ্ধভাবে আনা -নেওয়ার লম্বা লাইন দেখে যে কারো মনে হবে যেন অবৈধ্যভাবে বালু উত্তোলনের মহা উৎসব চলছে। বালু উত্তোলনের কারণে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত ও ধসের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যেকোনও সময় নদীর ধারের রাস্তা ধসে যাওয়ার আশঙ্কা করছে হরিপুর ইউনিয়ন এলাকাবাসী।নাম ও পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা জানান, সারা দিনরাত অবৈধ টলিতে বালু পরিবহনে লোড করায় গ্রামীণ সড়কগুলো ধসে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আবার বালু তোলার কারণে নদীর তীরবর্তী ফসলি জমি ও বসতবাড়ি ঘর হুমকির মুখে পড়েছে।সরজমিনে গেলে এলাকাবাসী আরও বলেন, অবৈধ অনেকগুলো বালু ঘাট পরিচালনা কারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহন করলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে মাসুদ চেয়ারম্যান ও মিলন মন্ডলের বালির ঘাটের বিরুদ্ধে কোন আইন গত ব্যবস্থা গ্রহন না করায় ইউনিয়নবাসীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। এ ভাবে বালি তুলতে থাকলে আগামী ১বছরের মধ্যে নদীর পাশের ফসলি জমি, ভিটে ও বাড়িঘর,রাস্তা ধসে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।প্রতিদিন হরিপুর থেকে শত শত বালি ভর্তি টলি প্রতিদিন শেখ রাসেল সেতুর উপর দিয়ে আসার কারনে সেতুর দুই ধারে বালির স্তর জমার কারনে ব্রীজের উপর যানজট ও দুর্ঘটনা ঘটছে এবং বালি ভর্তি টলির বেপরোয়া চলাচলের কারনে শহরে দুর্ঘটনা ও প্রানহানির আশঙ্কা করছে কুষ্টিয়ার সচেতন মহল।

শেয়ার করুন

এ বিভাগে আরও সংবাদ

ট্রেড লাইসেন্স নং- ৪৫৭৯

Design By: Rubel Ahammed Nannu-01711-011640