নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পৌর ১৫নং ও ১৬নং ওয়ার্ড জুগিয়া ও মঙ্গলবাড়ীয়া গোরস্থানের পিছনে প্লট ও ব্র্যাক মাঠে একটি পরিত্যক্ত স্থানে প্রতিদিন রাতে চলছে ইয়াবা সেবন, ফেন্সিডিল, ট্যাপেন্ডা সহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ নেশা জাতীয় মাদক। এছাড়া আরও জুগিয়া ও মঙ্গলবাড়ীয়াতে কয় একটি স্থানে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি ও সেবন চলে বলে জানা গেছে। এর মধ্যেই উল্লেখযোগ্য নদীর বাধ, গড়াই তীর ও কলা বাগান। কিছু দিন আগে চিহ্ন মাদক ব্যবসায়ী রাকি পুলিশের হাতে ফেন্সিডিল সহ আটক হয়৷ এবং সাংবাদিক নাসির উদ্দিন হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান চিহ্ন দুই মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং এর পরিচালনাকারী আলামিন ও সালাম এখনও পলাত। প্রতিদিন উঠতি বয়সী কিশোর ও যুবকরা সাধারন জনগনের সামনে প্রকাশ্যই মাদক সেবন করছে বলে জানা যায়। সাধারন জনগণ এ সকল মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারিদের কাছে থাকা দেশীয় অস্ত্রের ভয়ে কিছু বলতে পারে না, কিছু বললে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীরা বিভিন্ন কায়দায় প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে থাকে। এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে মঙ্গলবাড়িয়া বাঁধ এলাকায় অসংখ্য পরিবারের জীবন জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হিসেবে মাদক ব্যবসা করে বলে জানা যাচ্ছে। সরজমিনে গিয়ে জানা যায় কয়েকটি বাড়িতে একই পরিবারের মধ্যে মামা ভাগ্নে, ভাই ভাস্তি, স্বামী-স্ত্রী ও দেবর সহ সকলে মিলে চালাচ্ছে রমরমা মাদক ব্যবসা। অনলাইন ব্যাংকিং মোবাইলের মাধ্যমে মাদক বিক্রির টাকা নেওয়ার মাধ্যমে মাদক আদান – প্রদান হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এসকল মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের নিকট থেকে মঙ্গলবাড়িয়ার স্থানীয় সিনিয়র সাংবাদিকরা হত্যার হুমকি ও হামলার শিকার হয়েছে বলে জানা যায়। এ যেনো সত্য উদঘাটনে বস্তুনিষ্ঠতার সহিত কলম ধরলেই গুম হওয়ার আতংক ভর করে। এদিকে দীর্ঘদিন গোরস্থানের পিছনে প্লট ও ব্র্যাক পাঠে এক পরিত্যক্ত স্থানে মাদক বিক্রেতারা মাদক বিক্রয় করে এবং সেবনকারীরা মাদক সেবন করে। কুষ্টিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে এসে মাদক সেবনকারীরা এই স্থানে মাদক নিরাপদে সেবন করে। মাদক হাতের নাগালে পাওয়ায় এবং সেবনের স্থান নিরাপদ হওয়ায় এই এলাকার কিশোর ও যুবকরা দিনে দিনে মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। এলাকার মধ্যে তরুণ কিশোর যুবকদের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকেন কখন যেন তার আদরের সন্তান স্কুল কলেজ বিমুখী হয়ে মাদক সেবী হয়ে যায়। স্থানীয় জনগণের তথ্য অনুযায়ী এই পরিত্যক্ত স্থানটি মাদকের আস্তানায় পরিণত হয়েছে এবং ঐসব মাদক বিক্রেতারা ও সেবনকারীরা দেশীয় বিভিন্ন প্রকারের অস্ত্র সাথে রেখে ক্ষমতা দেখানোতে তাদের নাম প্রকাশ করতে ভীতসন্ত্রস্ত অসহায় নিরীহ এলাকাবাসী। যেখানে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার খাইরুল আলম ঘোষনা দিয়েছেন কুষ্টিয়ার জনগন ঘুমাবে নিশ্চিন্তায় এবং কুষ্টিয়ায় মাদক নির্মূল করবে প্রশাসন। অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য জেলা পুলিশ কুষ্টিয়ার নাকের ডগায় কুষ্টিয়া পৌর ১৫নং ও ১৬নং ওয়ার্ড জুগিয়া ও মঙ্গলবাড়ীয়া পরিত্যক্ত স্থানে চলছে রমরমা মাদকের ব্যবসা ও দেদারসে সেবন। সাধারন জনগন প্রসাশনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করে অতিদ্রুত এই মাদকের আস্তানা নির্মূল করার দাবী জানিয়েছেন।