1. nannunews7@gmail.com : admin :
শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৯:৩৫ অপরাহ্ন

নিষেধাজ্ঞা শেষে বরিশালে ইলিশ ধরা পড়ছে কম, দামও বেশি

  • প্রকাশের সময়ঃ- শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২২
  • ৫৬ পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-

বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, এ বছর ইলিশ বেশি ডিম ছেড়েছে। তাই কম চলাচল করায় ধরা পড়েছে কম।
নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর শনিবার সকাল থেকেই জমে উঠেছে বরিশালের ইলিশ কেনা-বেচার বাজার।
ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর শনিবার সকাল থেকেই জমে উঠেছে বরিশালের ইলিশ কেনা-বেচার বাজার। তবে কম ধরা পড়ায় ইলিশের দাম বেশ চড়া বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইলিশ মাছের নির্বিঘ্ন প্রজনন নিশ্চিত করতে গত ৭ অক্টোবর থেকে আহরণ, পরিবহন ও বিপণনে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। শুক্রবার মধ্যরাতে এই নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে মাছ ধরতে নদীতে নামেন জেলেরা।
শনিবার সকালে ব্যবসায়ীরা বলেন, গত বছর নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরদিন প্রচুর মাছ উঠেছে। কিন্তু এবার মাছ খুবই কম পরিমাণে উঠেছে। যার কারণে দামও বেশি।
নগরীর পোর্ট রোডে বরিশাল জেলা পাইকারী মৎস্য বাজারের আড়ত কর্মচারী মো. রানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত বছর প্রথম দিনই পোর্ট বাজারে দেড় থেকে দুই হাজার মণ ইলিশ বেচা-কেনা হয়েছে। কিন্তু এ বছর (বেলা ১১টা) এখন পর্যন্ত ১৫০ থেকে ২০০ মণ মাছ উঠেছে।
রানা বলেন, ইলিশ কম উঠলেও নিষেধাজ্ঞার পর শিকারে নেমে জেলেদের জালে পাঙ্গাস মাছ বেশি ধরা পড়েছে। বাজারে ইলিশের চেয়ে পাঙ্গাসের দাম কম। প্রতি কেজি পাঙ্গাস ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এই বাজারের ফকিরহাট মৎস্য সাপ্লায়ার্স আড়তের মালিক এমএ মাসুম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শনিবার এ বাজারে ভেলকা সাইজ (৫০০-৬০০ গ্রাম) ইলিশ প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। প্রতিমণ ৩০ হাজার টাকা ছিলো। এলসি সাইজ (৮০০-৯০০ গ্রাম) বিক্রি হয়েছে সাড়ে আটশ থেকে নয়শ টাকা দরে।
নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর শনিবার সকাল থেকেই জমে উঠেছে বরিশালের ইলিশ কেনা-বেচার বাজার।
এছাড়া এক কেজি সাইজের ইলিশ এক হাজার ১৫০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা এবং গ্রেট সাইজের ইলিশ এক হাজার ২৫০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের তালতলী বাজারের আড়তদার নাইম সিকদার বলেন, “নিষেধাজ্ঞার পর প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ার কথা। কিন্তু এবার জেলেদের জালে খুব সামান্য পরিমাণ ধরা পড়েছে। নদীতে ইলিশ মাছ নেই বল্লেই চলে।তাই ধরাও পড়ছে না।”
বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিগত বছরে নিষেধাজ্ঞার পর জেলেরা জাল নিয়ে নদীতে নেমে প্রথমবার একটু বেশি মাছ পেয়েছে। তারপর থেকে তা কমে যায়। কারণ ডিম ছাড়ার পর ইলিশ দুর্বল থাকে। তাই তাদের চলাচল সীমিত হয়ে যায়।
“এ বছর ইলিশ বেশি ডিম ছেড়েছে। তাই কম চলাচল করায় ধরা পড়েছে কম।”
তবে জো এলে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

শেয়ার করুন

এ বিভাগে আরও সংবাদ

ট্রেড লাইসেন্স নং- ৪৫৭৯

Design By: Rubel Ahammed Nannu-01711-011640