ইরানের রাজধানী তেহরানের রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে প্রতিবাদকারীরা।
নীতি পুলিশের হেফাজতে এক নারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিক্ষোভ ইরানজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। পাঁচ দিন ধরে চলা এ প্রতিবাদে মৃতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
গত সপ্তাহে ইরানের কুর্দিস্তান থেকে রাজধানী তেহরানে আসা ২২ বছর বয়সী নারী মাশা আমিনিকে হিজাব আইন লংঘনের দায়ে গ্রেপ্তার করেছিল নগরীর নীতি পুলিশ। পরে তাদের হেফাজতে মাশার মৃত্যু হয়। এর প্রতিবাদে ইরানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
প্রথমে বিক্ষোভ ইরানের কুর্দি অধ্যুষিত উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে শুরু হলেও ক্রমে তা দেশটির ৫০টি শহর ও নগরে ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৯ এ পেট্রলের দাম নিয়ে হওয়া বিক্ষোভের পর দেশটির দেখা সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ এটি।
বুধবার ইরানি কতৃপক্ষ ও একটি কুর্দি অধিকার আন্দোলনকারী গোষ্ঠী চলমান প্রতিবাদে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নতুন বিধিনিষেধও আরোপ করা হয়েছে।
গত দুই দিনে ৪ জন নিহত হয়েছে বলে ইরানি গণমাধ্যম ও স্থানীয় এক কৌঁসুলি জানিয়েছেন। এতে সরকারি সূত্রগুলোর ভাষ্য অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ৮ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য ও সরকারপন্থি মিলিশিয়া বাহিনীর একজন সদস্য রয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
তবে কুর্দি অধিকার আন্দোলন গোষ্ঠী হেনগাও জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ১০ প্রতিবাদকারী নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে বুধবার তিন জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। এরা সবাই নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।