1. nannunews7@gmail.com : admin :
শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ০২:৫৭ অপরাহ্ন

সেতুর কাঠের সেতু দেখানো হলো না বোনকে

  • প্রকাশের সময়ঃ- শনিবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৩০ পড়া হয়েছে
সড়ক দুর্ঘটনা
সড়ক দুর্ঘটনা

ডেস্ক নিউজঃ-

ঈদের দিন ছোট বোন ও ভাতিজিকে কাঠের সেতু দেখানোর জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিলেন মাসুদ রানা সেতু (২১)। সঙ্গে নিয়েছিলেন বন্ধু সাহেদ হোসেনকে (২০)। তাঁদের কাঠের সেতু দেখা হয়নি। পথে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে এক ইজিবাইকের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন সেতু। ছোট বোন জিন্নাত রহমান বীথি (১৩) ও ভাতিজি মনিরা আক্তার (১৫) কোনোরকমে রক্ষা পেলেও গুরুতর আহত হয়েছেন বন্ধু সাহেদও। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ৩ নম্বর গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের গরীবপাড়া জামে মসজিদের সামনে বিরামপুর-নবাবগঞ্জ সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সেতু পাশের বিরামপুর উপজেলার জোতবানী গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত সাহেদ হোসেন একই গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। সেতুর দাদা মশিউর রহমান ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনোদনস্পষ্ট আশুরার বিলে ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ কাঠের সেতু দেখার জন্য সেতু তাঁর ছোট বোন বীথি, ভাতিজি মনিরা ও বন্ধু সাহেদকে নিয়ে একই মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। সেতু মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। পথে নবাবগঞ্জের গরীবপাড়া জামে মসজিদের সামনে পাকা সড়কে একটি মোটরসাইকেলকে অতিক্রম করার সময় ওই মোটরসাইকেলের সঙ্গে তাঁর মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারান এবং এ সময় নবাবগঞ্জ থেকে বিরামপুর শহরের দিকে যাওয়া একটি ইজিবাইকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মোটরসাইকেল থেকে চারজন ছিটকে পড়ে ইজিবাইকে ধাক্কা খেয়ে সেতু ও সাহেদ গুরুতর আহত হন। বীথি ও মনিরা সামান্য আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানকার চিকিৎসক সেতুকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত সাহেদকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক। বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাহরিয়ার পারভেজ প্রথম আলোকে বলেন, দুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত চারজনের মধ্যে সেতুকে মৃত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আনা হয়। জিন্নাত রহমান বীথি ও মনিরা আক্তারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর সাহেদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, সড়ক দুর্ঘটনাটি নবাবগঞ্জ থানার মধ্যে ঘটেছে। নিহত তরুণের মরদেহ বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। এ বিষয়ে সেতুর পরিবার ও নবাবগঞ্জ থানাকে জানানো হয়েছে। মোটরসাইকেলটি নবাবগঞ্জ থানার পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

নিহত তরুণের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

শেয়ার করুন

এ বিভাগে আরও সংবাদ

ট্রেড লাইসেন্স নং- ৪৫৭৯

Design By: Rubel Ahammed Nannu-01711-011640